ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় দোকান ভাঙচুর
Published: 15th, February 2025 GMT
বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এছাড়া, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ‘ভালোবাসা বিরোধী’ বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা সংলগ্ন কলেজরোডে মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকানদার।
ফুলের দোকানদার আলম বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে দোকানে ফুল বিক্রি করি। শুক্রবার বিকেলে কিছু লোকজন দোকানে ভাঙচুর চালান। এ সময় বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেন তারা।’’
‘‘দোকানে ভাঙচুর ও ফুল ফেলে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, ভালোবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি, সেটাই অপরাধ। এ সময় তারা ‘ভালবাসা দিবস চলবে না, চলবে না’ ‘প্রেমিক-প্রেমিকার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ স্লোগান দেন।’’- যোগ করেন তিনি।
নিরিবিলি ফুড কর্নারের ম্যানেজার আসাদ খান বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার একদল লোক এসে ফাস্টফুড বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সে সময় তারা ভালোবাসা বিরোধী বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগানে দেন। ফলে, বাধ্য হয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া, ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।’’
এদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে উদীচীর বসন্তবরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। উদীচী ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘ভালোবাসা দিবসে বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু