ভালোবাসা দিবসের পরদিন সকালে সুখবর দিলেন টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। মা-বাবা হতে যাচ্ছেন তারা। পিয়া চক্রবর্তী নিজেই জানিয়ে দিলেন, তাদের ঘরে আসছে নতুন অতিথি। ভালোবাসা দিবসের পরের দিনই এমন একটি খবরে আনন্দে আত্মহারা অনুরাগীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে পিয়া জানিয়েছে, জুন মাসেই কোলে আসতে পারে তাঁদের সন্তান। হিসাব মতো পিয়া এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বেশ কিছু ছবির কোলাজ করে অন্যরকমভাবেই খবরটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন পিয়া। তিনি লিখেছেন, ভালোবাসা দিবস উদযাপন খানিকটা দেরিতেই করছি। জেন বিটা আসছে জীবনে। কমেন্টে সে কথাও লিখেছেন পিয়া।

পিয়া বলেন, ‘আমি এবং পরম ভীষণ এক্সাইটেড। ভীষণ খুশি। খুব আনন্দ হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটু চিন্তাও হচ্ছে। যাতে সব ভালো হয়। সব ঠিক থাকলে জুন মাসেই ভূমিষ্ঠ হবে সন্তান।’

২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর আইনি বিয়ে সারেন দু'জনে। পরমব্রত এবং পিয়ার সংসার যাপন প্রায় দেড় বছরের। আপাতত নতুন অতিথির অপেক্ষায় পরমব্রত-পিয়া।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিচ্ছেদ কী বললেন আমির

বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।

আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।

পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।

আমির খান। এএফপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ