আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ১৭তম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা এবং আলোহা তৃতীয় কনভোকেশন। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) ছিল এই আয়োজন।

দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ছয় শতাধিক স্কুল থেকে ৩ হাজার ৯০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, যারা আলোহা বাংলাদেশের বিভিন্ন শাখায় এ কোর্সটিতে যুক্ত আছে। এ আয়োজনে ৫৫০ জন আলোহা গ্র্যাজুয়েট সম্মাননা গ্রহণ করে।

শিশুরা কত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে, এটা পরীক্ষার উদ্দেশ্যেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে।

আয়োজনের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা লোহ মুন সাঙ। এরপর শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পর শুরু হয় পরীক্ষা–পর্ব। মোট চারটি ব্যাচে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী এই গণিত পরীক্ষায় অংশ নেয়।

দ্বিতীয় দিন প্রথম পর্বে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা লোহ মুন সাঙ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর কিরণ মাতওয়ানি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

আলী হায়দার চৌধুরী ও পরিচালক মো. শামসুদ্দিন টিপু।

স্বাগত বক্তব্যে আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘১৮ বছর ধরে মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে কাজ করছে আলোহা বাংলাদেশ। যেহেতেু শিশুদের ১৫ বছর পর্যন্ত কগনেটিভ নলেজের বিকাশ ঘটে, তাই বেশি বেশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি তাদের জন্য খুবই জরুরি।’

লোহ মুন সাঙ বলেন, ‘আমরা চাই পৃথিবীজুড়ে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এরপর আলোহা জিল্যান্ড শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স, প্রেজেন্টেশন এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। শেষে ফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত শিক্ষার্থীরা এ বছর কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।

বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে আলোহা বাংলাদেশের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন আল হ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা