ব্যাংককে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে গিয়েছিলেন অমিতাভ, এরপর...
Published: 16th, February 2025 GMT
নিশিযাপনের জায়গা হিসেবে ব্যাংককের পরিচিতি আছে। সে দেশে নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনো, পানশালা, স্ট্রিপের জমাটি আসর বসে রাত গড়ালে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য তৈরি বিশেষ পানশালা স্ট্রিপ ক্লাব। অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে একবার ব্যাংককের এমনই এক স্ট্রিপ ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন অ্যাকশন-থ্রিলার ‘এক আজনবি’ ছবির পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া। সম্প্রতি ফ্রাইডে টকিজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। ২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
পরিচালক জানিয়েছেন, অমিতাভ অনিদ্রার রোগী, রাতে ঘুমোতে পারেন না। সে কারণেই প্রতি রাতে একটি সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করতেন অভিনেতা। তবে একদিন ‘বিগ বি’ তাঁকে ব্যাংকক ঘুরিয়ে দেখাতে বলেন। অপূর্ব বলেন, ‘আমি বললাম, “স্যার, এটা পাটপং, এখানে লাইভ শো আছে; আমি যদি আপনাকে নিয়ে যাই, তাহলে গোল বেধে যাবে।” তিনি বললেন, “না, আমরা যাব।” তাই আমি বললাম, চলুন যাই।’
‘এক আজনবি’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আরো পড়ুন:
৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।
ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”
এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ