দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পরিদর্শন করেছে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউআইইউর উদ্ভাবনী কেন্দ্র পরিদর্শন করে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের (এসএআর) আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর (অন্তর্বর্তী) গেইল মার্টিন। প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন প্রসপারিটি প্র্যাকটিস গ্রুপের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিস, এসএআর-এর অর্থ, প্রতিযোগিতামূলকতা এবং বিনিয়োগ (এফসিআই)-এর গ্যাবি জর্জ আফরাম, প্রসপারিটির কান্ট্রি লিড ইকোনমিস্ট এবং প্রোগ্রাম লিডার সোলেমান কুলিবালি, এফসিআই ও এসএআর-এর সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি, এফসিআই ও এসএআর-এর আর্থিক সেক্টর স্পেশালিস্ট সোফি ডং, এসএআরভিপি অফিসের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট মিসেস জর্জ লুইস ম্যাকনালি, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরিন এ.

মাহবুব এবং প্রসপারিটির প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট মো. ফারুক হোসেন।

সংক্ষিপ্ত সফরে প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অবস্থা, গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকীকরণ প্রচেষ্টার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশনের (আইআরআইআইসি) পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং প্রতিনিধিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম মিয়া।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) তাদের ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের (ইউআইএইচপি) অধীনে ইনোভেশন হাব পরিচালনা করে, যা নতুন ধারণা ও নতুন স্টার্টআপ উদ্যোগে শিল্প-শিক্ষা সহযোগিতাকে সহজতর করে। ইউআইইউ ইনোভেশন হাব আইআরআইআইসি নামে পরিচিত একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, যেখানে গবেষণা প্রকৌশলীরা নিউরোমার্কেটিং, বাংলা মেডিকেল জিপিটি, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস স্ক্রিনিংয়ের জন্য অ্যাপস, ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং, আলঝেইমার স্ক্রিনিং ইত্যাদি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ