বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের ইউআইইউর উদ্ভাবনী কেন্দ্র পরিদর্শন
Published: 16th, February 2025 GMT
দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পরিদর্শন করেছে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউআইইউর উদ্ভাবনী কেন্দ্র পরিদর্শন করে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের (এসএআর) আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর (অন্তর্বর্তী) গেইল মার্টিন। প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন প্রসপারিটি প্র্যাকটিস গ্রুপের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিস, এসএআর-এর অর্থ, প্রতিযোগিতামূলকতা এবং বিনিয়োগ (এফসিআই)-এর গ্যাবি জর্জ আফরাম, প্রসপারিটির কান্ট্রি লিড ইকোনমিস্ট এবং প্রোগ্রাম লিডার সোলেমান কুলিবালি, এফসিআই ও এসএআর-এর সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি, এফসিআই ও এসএআর-এর আর্থিক সেক্টর স্পেশালিস্ট সোফি ডং, এসএআরভিপি অফিসের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট মিসেস জর্জ লুইস ম্যাকনালি, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরিন এ.
সংক্ষিপ্ত সফরে প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অবস্থা, গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকীকরণ প্রচেষ্টার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশনের (আইআরআইআইসি) পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং প্রতিনিধিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম মিয়া।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) তাদের ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রামের (ইউআইএইচপি) অধীনে ইনোভেশন হাব পরিচালনা করে, যা নতুন ধারণা ও নতুন স্টার্টআপ উদ্যোগে শিল্প-শিক্ষা সহযোগিতাকে সহজতর করে। ইউআইইউ ইনোভেশন হাব আইআরআইআইসি নামে পরিচিত একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, যেখানে গবেষণা প্রকৌশলীরা নিউরোমার্কেটিং, বাংলা মেডিকেল জিপিটি, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস স্ক্রিনিংয়ের জন্য অ্যাপস, ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং, আলঝেইমার স্ক্রিনিং ইত্যাদি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া