শহীদ দিবস যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে
Published: 20th, February 2025 GMT
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রিক সাতটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও রোড ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরওয়ার বলেন, আমাদের চারপাশে প্রায় এক কিলোমিটার রোড আছে, যেন সেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে। যেহেতু এখানে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সেজন্য মূলত সাতটা স্থানে রোড বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শাহবাগ, নীলক্ষেত, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট, চানখাঁরপুল, পলাশী ও বকশিবাজার ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল দুপুর ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে।
এছাড়াও অমর একুশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন রুটের তথ্য জানিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর একুশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সর্বসাধারণকে নিম্নবর্ণিত রুট অনুসরণের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।
পলাশী ক্রসিং-ভাস্কর্য ক্রসিং-জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রোমানা ক্রসিং-দোয়েল চত্বর হয়ে প্রস্থান।
শাহবাগ ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, চানখারপুল ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং বকশীবাজার ক্রসিং এ ডাইভারশন থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপলক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।