অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে বাজল ভারতের জাতীয় সংগীত, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নতুন বিতর্ক
Published: 22nd, February 2025 GMT
শুরুর পরও বিতর্ক-বিসংবাদ পিছু ছাড়ছে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। দুবাইয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে পাকিস্তানের লোগো ‘মুছে ফেলা’ নিয়ে কম জল ঘোলা হচ্ছে না। কীভাবে এমন হলো সেটি সুরাহা হওয়ার আগেই আজ লাহোরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুরু হলো বিব্রতকর এক পরিস্থিতি দিয়ে। ভুলে ভারতের জাতীয় সংগীত বাজিয়েই বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংশ্লিষ্টরা।
ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা যখন জাতীয় সংগীত গাইতে লাইন ধরেন তখনই এই ঘটনা ঘটে। লাউড স্পিকারে হঠাৎ করে ভারতের জাতীয় সংগীত জন গণ মন অধিনায়ক বেজে ওঠে। ভুল বুজতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি। ভারতের জাতীয় সংগীত বন্ধ করে ইংল্যান্ডের সংগীত বাজানো হয়। তবে ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে গেছে ঝড়। অব্যবস্থাপনার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা কম হচ্ছে না।
আরও পড়ুনভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান চাপে থাকবে যে কারণে৮ ঘণ্টা আগেবিব্রতকর সেই পরিস্থিতি অবশ্য ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা দলটি দারুণ শুরু করেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে দলটি। বেন ডাকেট ৭৬ রানে ও জো রুট ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৪৩ রানের মধ্যে ওপেনার ফিল সল্ট (১০) ও তিনে নামা জেমি স্মিথকে (১৫) হারানোর পর ১২৮ রানের জুটি গড়েছেন রুট-ডাকেট।
ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া আছে গ্রুপ ‘বি’তে। এই গ্রুপের অন্য দুটি দল আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুনশেষ চারের বিশ্বাস এখনো আছে বাংলাদেশের৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে চেয়ারম্যান শূন্য জবির সিএসই বিভাগ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে গত ১৪ দিন ধরে চেয়ারম্যান নেই।
গত ২ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিভাগটি কার্যত নেতৃত্বশূন্য। এ কারণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ছে।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
বিভাগে চেয়ারম্যান নিয়োগকে ঘিরে মূলত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে দুই সিনিয়র অধ্যাপকের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে বিভাগে মাত্র দুইজন অধ্যাপক পালাক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর মধ্যে অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন দুইবার এবং অপরজন তিনবার দায়িত্বে ছিলেন। বিভাগে নতুন করে আরো চারজন শিক্ষক অধ্যাপক পদে উন্নীত হয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাদের মধ্য থেকেই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু পুরোনো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আবারো পদ দাবি করেন ড. নাসির উদ্দিন। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগের সব শিক্ষকদের নিয়ে একটি সভা করে। শিক্ষকদের সম্মতিতে অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনদিন পরই গত ১৪ সেপ্টেম্বর ড. নাসির উদ্দিন ড. পরিমল বালার কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান ডিন। শেষ পর্যন্ত তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে অব্যাহতি চান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ইতোমধ্যে দুইবার চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভাগে এখন নতুন তিনজন অধ্যাপক আছেন ঠিকই, কিন্তু জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে চেয়ারম্যান হওয়ার অধিকার তারই রয়েছে। তাই তাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান পদ ডিনকে দেওয়ায় তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
চেয়ারম্যানবিহীন অবস্থায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পলাশ বলেন, “আজ ১৪ দিন হয়ে গেলেও বিভাগে চেয়ারম্যান নেই। এতে আমরা একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অন্য বিভাগ থেকে কেনো চেয়ারম্যান দেওয়া হবে? আমাদের ছয়জন অধ্যাপকের মধ্য থেকেই নিয়োগ দিতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, কোনো বিভাগে যদি অধ্যাপক না বাড়ে তবে বিদ্যমান অধ্যাপকরা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নতুন কেউ অধ্যাপক হলে তাকেই চেয়ারম্যান করার নজির রয়েছে। এমনকি বর্তমান উপাচার্যের বিভাগেও একইভাবে নতুন অধ্যাপককে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। তবুও সিএসই বিভাগে সেই নিয়ম কার্যকর না হওয়ায় সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “চেয়ারম্যান নিয়োগে স্থায়ী সমাধানের জন্য আইন উপদেষ্টাদের কাছে মতামত চেয়েছি। এজন্যই অস্থায়ী সমাধান হিসেবে ডিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নোটিশ পাঠানোয় পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেছে, যা আমাদের জন্য বিব্রতকর।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী