লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা পহর চান্দা হাছনা ভিটায় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম অবৈধভাবে দখল করে আছেন দুই একর খাসজমি। সেখানে এখন নির্মাণ করছেন মার্কেট। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। 
এ ব্যাপারে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলা প্রশাসক ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শাহ আলম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। অভিযোগে লামা সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই আওয়ামী লীগ নেতা অবৈধভাবে দুই একর সরকারি খাসজমি দখল করে আছেন এবং বর্তমানে পাকা মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে হাছনাপাড়া স্টেশনে ডিসি সড়ক সংলগ্ন নূরল আলমের পাকা মার্কেট। ফার্মেসি, নাপিত, মুদি ও চায়ের দোকান রয়েছে সেখানে। রয়েছে চাষের জমিসহ বিশাল মৎস্য প্রকল্প। একটি দুই হাজার বর্গফুটের নির্মাণাধীন পাকা বাড়িও দেখা গেছে। খাসজমিতে ইট, বালু, কংক্রিট ও রড মজুত করা হয়েছে। ৭-৮ জন শ্রমিক টিনের দোকানগুলোর ভেতরে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, সরকারি খাসজমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম। 
অভিযুক্ত সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম বলেন, ‘আমি ৬০ শতক খাসজমি বন্দোবস্তি নিয়েছি। সেখানে পাকা মার্কেট ও ঘর নির্মাণ করছি।’ ৬০ শতকের বেশি দুই একর খাসজমি কেন দখলে আছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ খাসজমি দখলে আছে। এগুলো নিয়ে কেন কথা হয় না।’ 
স্থানীয়রা বলেন, নুরুল আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে তিনি খাসজমি দখল করেছেন। আওয়ামী সরকার পতনের পরও প্রকাশ্যে তিনি নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 
অভিযোগকারী শাহ আলম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘পুটিবিলা পহর চান্দা মৌজার ৫নং সিটের ৪০১৬, ৪০২৮, ৪০১৪ বিএস দাগের দুই একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন নুরল আলম। জনস্বার্থে ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছি। এখন অবৈধ দখল উচ্ছেদ করবে কিনা সেটা প্রশাসনের ব্যাপার।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.

ইনামুল হাসান বলেন, ‘তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দখল ন র ম ণ করছ ন ন র ল আলম দ ই একর সরক র আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী। 

মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।” 

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।  

চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।  

১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। 

চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। 

নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ