নিরাপত্তা সমৃদ্ধি উন্নয়নে আনসার বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে
Published: 24th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, বর্তমান যে নিরাপত্তার পরিস্থিতি সে জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে। তারা হামলার মুখোমুখি আহত হলেও সর্বান্তকরনে নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রের প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তা সমৃদ্ধি উন্নয়নের জায়গায় এই বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। আমাদের ৬০ লাখের যে ডাটাবেজ সেটা তৈরি হয়ে গেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আরও বলেন, গত আগস্টের পর থেকে ১ লাখের কাছাকাছি মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তার কাজে লাগানো গেলে নিরাপত্তার হুমকী সেগুলোকে ঠেকানো সম্ভব। এবছর নির্বাচনের জন্য আরও ৮৫ হাজার প্রশিক্ষণ নিবেন। ইতোমধ্যে ডাটাবেইজ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা শেষ করতে পারলে দেশের মানুষের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা সেটা করে দেখাতে পারবো। আমাদের ৬০ লাখের জনবলের ১২০ লাখ হাতকে আত্মনির্ভরশীলতার দিকে যেতে চাই।
জেলা প্রশাসক মো.
অনুষ্ঠান শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বন্দর উপজেলা কোম্পানী কমান্ডার মো. সামসুল হক দেওয়ান, কুতুবপুর ইউনিয়ন দলনেত্রী লিপি আক্তার, রূপগঞ্জের তারবো পৌরসভার ওয়ার্ড দলনেতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিককে পুরস্কার তুলে দেন মহাপরিচালক।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।