ব্যাঙের নতুন আবিষ্কৃত এক প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে। সম্প্রতি গবেষকেরা ইকুয়েডরের ওয়েস্টার্ন মাউন্টেন ফরেস্টে একটি ছোট বাদামি উভচর ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। সেই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে ফিলোন্যাসটেস ডিক্যাপ্রিও। এই ব্যাঙ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৩০ মিটার থেকে ১ হাজার ৭০৫ মিটার উচ্চতায় বাস করে।

গবেষকদের তথ্যমতে, নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির ব্যাঙ শরীরের আকার ও স্বতন্ত্র আঙুলের কারণে অন্য সব ব্যাঙের চেয়ে আলাদা। নতুন ব্যাঙটি ইকুয়েডরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োডাইভারসিটি, ইকুয়েডরের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি ও সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অব কুইটোর গবেষকদের আবিষ্কৃত সাতটি নতুন প্রজাতির মধ্যে একটি। নতুন প্রজাতির ব্যাঙগুলো বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অনেক বছর ধরেই পরিবেশগত বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকায় তাঁর নামে ব্যাঙের নতুন প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে।

টেলিগ্রাফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ