সভাপতিসহ ৯ পদে আ.লীগ ও ৫টিতে বিএনপিপন্থিদের জয়
Published: 27th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) ১৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টিতে ও বিএনপি ৫টিতে জয়লাভ করেছে। এছাড়া জামায়াত ২টিতে ও জাতীয় পার্টি ১টিতে জয় পেয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুনুর রশিদ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপির এস এম শাতিল মাহমুদ।
গতকাল বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কে এম আব্দুর রউফ। কমিশনে সদস্য ছিলেন মোস্তফা সামসুজ্জামান ও আল মুজাহিদ হোসেন।
এর আগে নির্বাচন ঘিরে আদালত চত্বরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক আদালত চত্বরে নির্বাচনী পাঁচটি ক্যাম্পে হামলায়। এ সময় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী তার মোবাইল ফোন হামলার ঘটনা ভিডিও করায় তার মাথায় আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আইনজীবীরা মনে করছেন, এই ঘটনার কারণে বিএনপিপন্থি প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবার ১৭টি পদের বিপরীতে ৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির ৪৬০ ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোট দেন।
সভাপতি পদে হারুনুর রশিদ ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী এস এম শাতিল মাহমুদ ১৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত ফারুক আজম মৃধা, সহসভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত মাহমুদুল হক চঞ্চল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাজমুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে বিএনপি সমর্থিত আবুল হাশিম, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সুলতানা বেগম মমো, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মকলেচুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থিত ওয়ালীউল বারী, সিনিয়র সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মারুফ বিল্লাহ ও আশুতোষ কুমার পাল, বিএনপি সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা ও হাফিজুর রহমান। জুনিয়র সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুহাইমিনুর রহমান পলল, সাইফুর রহমান সুমন ও সাইফুল ইসলাম এবং জামায়াত সমর্থিত রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ন র ব চ ত হয় ছ ন ল গ সমর থ ত সমর থ ত ম র রহম ন আইনজ ব ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এই আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আগামী রোববার শুনানি হতে পারে।
চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ বুধবার রায় দেন। রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে ওই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জামিন পান।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। শুনানি হয়নি। চেম্বার আদালত আগামী রোববার আবেদনটি শুনবেন।
এর আগে ওই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। সেদিন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
আরও পড়ুনরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন৩ ঘণ্টা আগে