আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, নির্বাচন, দুর্যোগ ও উৎসবে সহায়তা করা ছাড়াও আনসার বাহিনীর আরও অনেক কিছু করার আছে। খুব শিগগির বাহিনীকে ভিন্নভাবে দেখা যাবে। বিগত ছয় মাসে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দেশের প্রায় ১ লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, আনসারের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেকারদের প্রশিক্ষিত করে আত্মনির্ভরশীল করার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আনসার শব্দের অর্থ সহায়তাকারী, এই নামের মূল্যায়ন করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার জায়গায় কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হাসান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক নূরুল হাসান ফরিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা কমান্ড্যান্ট মিনহাজ আরেফিন।

এদিকে আজ রাজধানীর কাকরাইল আইডিইবি ভবনের কাউন্সিল হলে আনসার বাহিনীর ঢাকা জেলা সমাবেশে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কোনো কিছু ঘটলে সবার আগে আনসার বাহিনী জানতে পারে। তাদের ফোর্স প্রতিটি গ্রামে, পাড়া-মহলায় রয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনসার বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, বাহিনীর ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক আশরাফুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আরিফ হোসেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রফিউল আলম ও ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক নুরুল আলম।

অনুষ্ঠানে সেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জেলা সমাবেশ উদ্বোধন করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনস র ব হ ন অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ