চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিনা খরচে ইফতার পাবে দর্শকরা
Published: 28th, February 2025 GMT
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান। এদিকে দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কমপক্ষে আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের ইফতার নিয়ে ভাবতে মানা করেছে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে ইফতার বক্স প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসিবি।
এই উদ্যোগটি রমজান মাসের চেতনাকে ধারণ করেই নেওয়া হয়েছে। রোজা পালনকারী দর্শকরা যেন কোন বাঁধা ছাড়াই ছাড়াই খেলা উপভোগ করতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে এই চিন্তা করেছে ইসিবি। ইফতার আগেই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সমস্ত নন-হসপিটালিটি অংশ গুলোতেই বক্সগুলো বিতরণ করা হবে।
সামনের সপ্তাহেই রমজান শুরু হচ্ছে। রবিবার (২ মার্চ, ২০২৫) নিউজিল্যান্ড-ভারতের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ রমজানেই অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন দর্শকরা বিনা খর চেই ইফতার বক্সগুলো পাবেন।
আরো পড়ুন:
স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!
কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস
ইসিবির এই পদক্ষেপটি মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন। যা সব দর্শকদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। ক্রিকেট ভক্তরা কিংবা খেলা দেখতে আসা পরিবারগুলো ত্যাগ ও উদারতার দারুণ এই সংস্কৃতিক উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। মাঠে আসা দর্শকদের একত্রিত হয়ে রমজান উদযাপনের অনুভূতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ইসিবি এই উদ্যোগটি নিয়েছে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হলেও ভারতের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত যদি ফাইনাল খেলে তাহলে দুবাইয়ে রমজানের মাঝেই আরও তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ত ইফত র রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।