ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় ও আর্মি গলফ ক্লাবের আয়োজনে গত সোমবার শুরু হওয়া ‘সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৫’ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।

এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদুর রহিম। লেডিস গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শারমিন জাহাঙ্গীর। বেস্ট গ্রোসে সেরা হয়েছেন শায়লা আহসান এবং রানার-আপ হয়েছেন জ্যোস্না আরা নীলা। জুনিয়র গ্রুপে বিজয়ী হয়েছেন খান ফারহান আহমেদ ও বেস্ট গ্রোসে সেরা হয়েছেন রায়িম আল মাবরুক।

ভ্যাটার্ন গ্রুপে বিজয়ী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ইউং কমান্ডার এম সাইফুল ইসলাম ও বেস্ট গ্রোসে সেরা হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। সিনিয়র গ্রুপে বিজয়ী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম ও বেস্ট গ্রোসে সেরা হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো.

আরমান আলী ভূঁইয়া এবং রানার্স-আপ হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সোহেল।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন আর্মি গলফ ক্লাবের সভাপতি মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী ও আর্মি গলফ ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আহমেদ আলী।

এবারের প্রতিযোগিতায় দেশি-বিদেশি ৮ শতাধিক অ্যামেচার গলফার অংশ নেন। যেখানে ৪৮০ জন ছিলেন রেগুলার গলফার, ৭৬ জন ছিলেন ভ্যাটার্ন, ২০৬ জন ছিলেন সিনিয়র, ৪২ জন ছিলেন লেডিস এবং ১৬ জন জুনিয়র। তাদের মধ্যে মোট ২৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

ঢাকা/একরাম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবসরপ র প ত ব র গ ড য় র জ ন র ল জন ছ ল ন

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট মার্টিনে একটি ইলিশ বিক্রি হলো ৪ হাজার ৫০ টাকায়

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ আলম নামের এক ট্রলারমালিকের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের একটি বড় ইলিশ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০ টাকায়।

আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম।

মো. আজিম জানান, সেন্ট মার্টিন দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলমের মালিকানাধীন একটি ছোট ট্রলারে পাঁচজন মাঝিমল্লা আজ ভোরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে ‘আটবাইন’ নামের এলাকায় জাল ফেলেন। দুপুর ১২টার দিকে জাল তুললে ওই বড় ইলিশসহ ছয়টি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম করে।

বেলা দুইটার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছালে বড় ইলিশ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন মাছটি দেখতে।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে গিয়ে এত বড় ইলিশ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। প্রথমে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা দর হাঁকানো হলেও পরে স্থানীয় ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক জিয়াউল হক প্রতি কেজি ১ হাজার ৭৫০ টাকা দরে মাছটি ৪ হাজার ৫০ টাকায় কিনে নেন।

মোহাম্মদ আলম আরও জানান, অবশিষ্ট ছয়টি ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা দরে মোট ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫০ টাকা।

মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘এক বছর আগেও এক মণ ইলিশ বিক্রি করে এত টাকা পাওয়া যায়নি।’

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই জেলেরা মাছ ধরতে বের হচ্ছেন। তবে সাগর এখনো কিছুটা উত্তাল থাকায় তাঁরা দ্বীপের আশপাশে মাছ ধরছেন। অনেকে খালি হাতে ফিরলেও মোহাম্মদ আলমের এবার ভাগ্য খুলে গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে সাতটি ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরকারনির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এখন জেলেদের জালে নানা প্রজাতির মাছ উঠছে। এতে জেলে পরিবারগুলো লাভবান হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ