রমজানে বিকাশে কেনাকাটা করলেই মিলবে ছাড়
Published: 1st, March 2025 GMT
এবারও পুরো রমজান মাস ও ঈদের কেনাকাটায় দেশের শীর্ষ সুপারস্টোরগুলোয় বিকাশে লেনদেন করলে মিলছে ছাড়। সুপারস্টোর ভেদে ‘আরটু’ এবং ‘আরথ্রি’ উভয় কুপন ব্যবহার করে বিকাশে বিল পরিশোধে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ছাড় পাবেন একজন গ্রাহক। যা গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে, চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিকাশ।
এতে জানানো হয়েছে, সুপারস্টোরগুলোয় কেনাকাটা শেষে বিকাশ অ্যাপে আরটু কুপন কোড যোগ করে ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা পরিশোধ করলেই গ্রাহক পাচ্ছেন ৫০ টাকা ছাড়। এ প্রক্রিয়ায় একজন গ্রাহক দিনে একবার এবং অফার চলাকালীন তিনবারে ৫০ টাকা করে মোট ১৫০ টাকা ছাড় পাবেন। বিকাশ অ্যাপে আরটু কুপন যোগ করে ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধে ৫০ টাকা তাৎক্ষণিক ছাড় পাওয়া যাচ্ছে মীনা বাজার, ইউনিমার্ট, ডেইলি শপিং, আগোরা, প্রিন্স বাজার, বেঙ্গল মিট, হোলসেল ক্লাব, আপন ফ্যামিলি মার্টসহ আরও বেশ কয়েকটি সুপারস্টোরে।
এদিকে সুপারস্টোর ব্র্যান্ড স্বপ্ন–এর বিভিন্ন আউটলেটে আরথ্রি কুপন ব্যবহার করে ন্যূনতম এক হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধে দিনে একবার ৫০ টাকা এবং অফার চলাকালীন তিনবারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা তাৎক্ষণিক ছাড় মিলছে।
কুপন কোড যোগ করে বিকাশ অ্যাপ, কিউআর কোড এবং বিকাশ বাংলা কিউআর ব্যবহার করে পেমেন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা এই ছাড় উপভোগ করতে পারছেন। উভয় কর্মসূচির ক্ষেত্রেই ছাড়ের মেয়াদ থাকবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টাকা পরিশোধের সময় গ্রাহকেরা বিকাশ অ্যাপের ‘পেমেন্ট’ সেকশনের কুপন বা প্রোমোকোড অপশন থেকে কুপন যোগ করে নিতে পারবেন। আবার অ্যাপের মেন্যু থেকেও কুপন আইকনে ট্যাপ করেও কোডটি যোগ করা যাবে। সুপারস্টোরভেদে আরটু এবং আরথ্রি কুপনের প্রতিটি একই দিনে একবার করে ব্যবহার করা যাবে। নতুন কুপন ব্যবহার করার জন্য পূর্বের অব্যবহৃত কুপনটি আগে ব্যবহার করতে হবে। একটি কুপন শুধু একটি পেমেন্টের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর য গ কর গ র হক ৫০ ট ক পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।
জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।
কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।