দেশের সব মহাসড়কে অবস্থিত ভ্যাট যোগ্য হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) অথবা সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এসব রেস্তোরাঁয় ইলেকট্রনিক ভ্যাট চালান ইস্যু না করায় সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা হচ্ছে না বলে ভোক্তারা নিয়মিত অভিযোগ করছে আসছে। এসব রেস্তোরাঁয় চব্বিশ ঘণ্টা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালায় একই সঙ্গে ভোক্তাদের নিকট থেকে অনেকে ভ্যাট আদায় করলেও সঠিকভাবে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় না। এ কারণে বাধত্যামূলকভাবে ইএফডি বা এসডিসি মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, যথাযথভাবে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দেশের মহাসড়কে অবস্থিত সব হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ইএফডি বা এসডিসি মেশিন বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপনের নির্দেশনা দেন। শুধু তাই নয় প্রতিদিনের লেনদেন নিয়মিতভাবে মনিটর করে যথাযথ পরিমাণ ভ্যাট আদায়ের জন্য জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের জন্য নতুন নতুন করদাতা চিহ্নিতকরণ ও ভ্যাটের হার পরিবর্তনের পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এনবিআর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আইনানুগ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে করদাতাদের সাথে সেবামূলক মনোবৃত্তি বজায় রাখারও নির্দেশনা দেন। এমন পেক্ষাপটে মহাসড়কে অবস্থিত ভ্যাট যোগ্য হোটেল রেস্তোরাঁয় বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) অথবা সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন:

ভ‍্যাট নিবন্ধন: ৬ মাসে এনবিআরের ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

‘ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নতুন সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য’

এদিকে, মহাসড়কের রেস্তোরাঁয় কেনাকাটা করার সময় ইলেকট্রনিক চালান বা রসিদ গ্রহণের জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআর। ভ্যাট পরিশোধকারীদের প্রতি মাসে এনবিআর ইএফডি মেশিন জেনারেটেড ভ্যাটের রশিদগুলোর মধ্য হতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ভ্যাট দাতাদের পুরস্কার প্রদান করে।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ধ যত ম ম লকভ ব এসড স

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ