মহাসড়কের রেস্তোরাঁয় ভ্যাট মেশিন বসানো বাধ্যতামূলক
Published: 3rd, March 2025 GMT
দেশের সব মহাসড়কে অবস্থিত ভ্যাটযোগ্য হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) অথবা সেলস ডেটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান দেশের এ ধরনের রেস্তোরাঁ ও হোটেলে বাধ্যতামূলকভাবে ইএফডি বা এসডিসি মেশিন স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে রেস্তোরাঁয় খাবার বিলের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়।
ইতিমধ্যে এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ের সব কমিশনারকে দেশের সব মহাসড়কে অবস্থিত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাটের মেশিন স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিদিনের লেনদেন নিয়মিতভাবে মনিটর করে যথাযথ পরিমাণে ভ্যাট আদায়ের জরুরি নির্দেশ দেন।
এনবিআর বলছে, সারা দেশের সব মহাসড়কে অবস্থিত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ইলেকট্রনিক ভ্যাট চালান ইস্যু না করায় সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে ভ্যাট জমা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ করছেন ভোক্তারা। মহাসড়কের রেস্তোরাঁগুলোতে ২৪ ঘণ্টা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলে। অনেকে ভ্যাট আদায় করলেও সঠিকভাবে তা জমা দেন না।
এনবিআর আরও বলেছে, ভোক্তাদের মহাসড়কের সব রেস্তোরাঁয় কেনাকাটা করার সময় ইলেকট্রনিক চালান বা রসিদ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। ভ্যাট চালান গ্রহণ না করলে ক্রেতারা যে ভ্যাট পরিশোধ করেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে না।
এদিকে প্রতি মাসে এনবিআর ইএফডি মেশিন জেনারেটেড ভ্যাটের রসিদগুলোর মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী শতাধিক ভ্যাটদাতাকে পুরস্কার দেয় ভ্যাট বিভাগ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ধ যত ম
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক