ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে গুলশান। শুরুতেই চাপে পড়ে দলটি। ৬.

২ ওভারে মাত্র ৩৪ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। গুলশানের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ১১ বলে ৪ রান করে ফিরেন, আর তিন নম্বরে নামা খালিদ হাসান করেন ৮ বলে ৮ রান। এমন বিপর্যয়ে দলকে টেনে তোলেন চতুর্থ ব্যাটার ইফতি। প্রথমে জাওয়াদ আবরারের সঙ্গে ৮৩ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন তিনি। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটার হাবিবুর শেখ মুন্নার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৯৪ রানের আরও একটি কার্যকর পার্টনারশিপ গড়েন।

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইফতি। শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করে ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে আবু হায়দার রনির শিকার হন তিনি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, যা মোহামেডানের জন্য চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য হতে পারে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ