হিলিতে বেগুনের দাম রাতারাতি বেড়ে তিন গুণ
Published: 4th, March 2025 GMT
দিনাজপুরের হিলিতে রাতারাতি বেগুনের দাম বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। রমজানের আগের দিন বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় হিলির বাজারগুলো ঘুরে জানা গেছে, পবিত্র রমজানের আগের দিন বেগুনের কেজি ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। প্রথম রোজার দিনে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
ইফতারে রোজাদারদের কাছে অন্যতম পছন্দের খাবার বেগুনি বা বেগুনের চপ। তাই, রমজানে এ সবজির চাহিদা বেড়েছে। এর সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ বেগুনচাষিরা। কয়েক গুণ দাম বাড়ায় হতাশ সাধারণ মানুষ।
জহুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেছেন, “সবজির বাজার যেন মগের মুল্লুক। রাতারাতি আকাশছোঁয়া দাম। রোজার দুই দিন আগে ১৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কিনেছিলাম। আজ সেই বেগুন ৭০ টাকায় কিনতে হলো। দাম বাড়ার তো একটা লিমিট থাকা দরকার।”
আজাহারুল ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “রমজান মাসে ইফতারে বেগুনি সবার প্রিয়। এত দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে বেগুন কিনবে?”
হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, “রমজানের আগে বেগুনের তেমন চাহিদা ছিল না। বর্তমান এর অনেক চাহিদা। প্রায় সব কাস্টমার বেগুন কিনছেন। চাহিদা বাড়ায় কৃষকরাও হঠাৎ দাম বেশি নিচ্ছেন। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করছি।”
ঢাকা/মোসলেম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৭০ ট ক রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া