দিনাজপুরের হিলিতে রাতারাতি বেগুনের দাম বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। রমজানের আগের দিন বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। 

সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় হিলির বাজারগুলো ঘুরে জানা গেছে, পবিত্র রমজানের আগের দিন বেগুনের কেজি ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। প্রথম রোজার দিনে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। 

ইফতারে রোজাদারদের কাছে অন্যতম পছন্দের খাবার বেগুনি বা বেগুনের চপ। তাই, রমজানে এ সবজির চাহিদা বেড়েছে। এর সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ বেগুনচাষিরা। কয়েক গুণ দাম বাড়ায় হতাশ সাধারণ মানুষ। 

জহুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেছেন, “সবজির বাজার যেন মগের মুল্লুক। রাতারাতি আকাশছোঁয়া দাম। রোজার দুই দিন আগে ১৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কিনেছিলাম। আজ সেই বেগুন ৭০ টাকায় কিনতে হলো। দাম বাড়ার তো একটা লিমিট থাকা দরকার।”

আজাহারুল ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “রমজান মাসে ইফতারে বেগুনি সবার প্রিয়। এত দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে বেগুন কিনবে?”

হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, “রমজানের আগে বেগুনের তেমন চাহিদা ছিল না। বর্তমান এর অনেক চাহিদা। প্রায় সব কাস্টমার বেগুন কিনছেন। চাহিদা বাড়ায় কৃষকরাও হঠাৎ দাম বেশি নিচ্ছেন। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করছি।”

ঢাকা/মোসলেম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৭০ ট ক রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ