সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ
Published: 6th, March 2025 GMT
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার কোটি টাকা। প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি বা ৫০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। আলোচ্য সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২১৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১০ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭৮৩ কোটি টাকা।
কৃষি খাতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের অন্তত ২ শতাংশ কৃষি খাতে বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষিঋণ বিতরণ করবে না, তাদের জরিমানার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিতরণে ব্যর্থ হবে, সেসব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তহবিলে ওই অর্থ জমা দিতে হবে।
যেসব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে শাখা নেই, তারা এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করতে পারবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, সুদের হার ঠিক থাকবে। ফলে, প্রতি বছর কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ছে।
কৃষি ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ৪ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণে শীর্ষে আছে কৃষি ব্যাংক। এর পরেই আছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি আলোচ্য সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এছাড়া, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৪১৪ কোটি, সোনালী ব্যাংক ৮৮৩ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক ৬৫১ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৬১৭ কোটি এবং পূবালী ব্যাংক ৬০৭ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।
বিদেশি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোও কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। তবে, বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি উরি ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সব ব য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।
অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।