চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে কোহলি যেসব মাইলফলকের সামনে
Published: 8th, March 2025 GMT
দুবাইয়ে হবে নাকি বিরাট কোহলির আরেকটি ‘মাস্টারক্লাস’? গত মঙ্গলবার এই দুবাইয়েই সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলির ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংসে ফাইনালে ওঠে ভারত। দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেই ফাইনাল। দুবাই স্টেডিয়ামে আগামীকাল শিরোপা–লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। এ ম্যাচে কোহলিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে দারুণ এক মাইলফলক।
আরও পড়ুনআইসিসি টুর্নামেন্টে ‘রাজা’ ভারত, ‘রানি’ নিউজিল্যান্ড১ ঘণ্টা আগেচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফর্ম ফিরে পেয়েছেন কোহলি। সেমিফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালেও কোহলির ব্যাট চওড়া হয়ে উঠবে—প্রত্যাশা ভারতের সমর্থকদের। সেটি পারলে কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হবেন কোহলি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। ১৭ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ৭৯১ রান। কোহলি ১৭ ম্যাচে ১৬ ইনিংসে ৭৪৬ রান নিয়ে দুইয়ে। রেকর্ডটি নিজের করে নিতে কোহলির চাই আর ৪৬ রান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।
রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।
রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’
২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।