দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল, যেখানে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা থেকে শুরু হতে যাওয়া এ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক পরিষেবা অ্যাকুওয়েদার। দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সন্ধ্যা নাগাদ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে। আকাশ পরিষ্কার ও রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা ১ শতাংশ।

আরও পড়ুনভারত ফেবারিট বলেই নির্ভার নিউজিল্যান্ড ২ ঘণ্টা আগে

অ্যাকুওয়েদারের তথ্য অনুযায়ী, আকাশে সূর্য ও মেঘের উপস্থিতিতে উষ্ণ থাকবে দুবাইয়ের আবহাওয়া। কিন্তু আবহাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া কঠিন। তবু বৃষ্টির কারণে যদি খেলা পণ্ড হয়? চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অতীতে এমন দেখা গেছে। ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কলম্বোয় রিজার্ভ ডে–ও বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

ফাইনালে ফলের জন্য দুই দলকেই অন্তত ২৫ ওভার করে ব্যাট করতে হবে। তবে এবারের ফাইনালেও রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি। ধরে নেওয়া যাক, ম্যাচ শুরুর পর বৃষ্টিতে খেলা আর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হলো না। তাহলে আজ বৃষ্টি নামার আগে খেলা যেখানে শেষ হবে, আগামীকাল সেখান থেকেই শুরু হবে। তবে আগামীকালও যদি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, তাহলে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুনদুই দিন পর মুশফিকের অবসরের খবর জানলেন ডোনাল্ড, এরপর যা বললেন…১০ ঘণ্টা আগে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিয়ে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা হয়েছে, ‘নির্ধারিত দিনে খেলায় বিঘ্ন ঘটলে আম্পায়াররা অতিরিক্ত সময় কাজে লাগাবেন। প্রয়োজন হলে ওভার সংখ্যা কমিয়ে ম্যাচের দিন ফল বের করার চেষ্টা করবেন।’

প্লেয়িং কন্ডিশনে আরও বলা হয়েছে, ‘রিজার্ভ ডে নেই—এমনটা ভেবে নিয়েই মাঠ, আবহাওয়া ও আলো–সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে আম্পায়ারদের। যেন নির্ধারিত দিনে যতটা সম্ভব, খেলা এগিয়ে নেওয়া যায়। ফলের জন্য প্রতিটি দলকেই অন্তত ২৫ ওভার করে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেতে হবে। নির্ধারিত দিনে ফলের জন্য ন্যূনতম ওভার সংখ্যা (২৫ ওভার) বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি না করা যায়, তাহলে সেদিনের জন্য খেলা পরিত্যক্ত হবে। ম্যাচটি পুনরায় খেলতে কিংবা শেষ করতে রিজার্ভ ডেতে খেলা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ