রোহিতের অবসর নিয়ে এত কথা কেন, সৌরভের প্রশ্ন
Published: 9th, March 2025 GMT
বয়স ৩৮ ছুঁই ছুঁই। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ৪০ পেরিয়ে যাবে। সেই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পরিকল্পনায় রোহিত শর্মা থাকবেন কি না, নিশ্চিত নয়।
রোহিত নিজেও হয়তো দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে অনুজদের সুযোগ করে দেবেন। এ কারণেই জোর গুঞ্জন, দুবাইয়ে আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল শেষেই ওয়ানডেকে বিদায় বলে দেবেন রোহিত।
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ ম্যাচ শেষে রোহিতের সঙ্গে কথা বলবেন বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সহ–অধিনায়ক শুবমান গিলও ইঙ্গিত দেন, ফাইনাল শেষে হয়তো সিদ্ধান্ত জানাবেন রোহিত। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বক্তব্য ‘এক্সপাঞ্জ’ করে নেন গিল।
তবে যে যা–ই বলুন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করেন, রোহিতকে এখনই ওয়ানডে থেকে বিদায় দেওয়া ভালো ব্যাপার হবে না। সমর্থকদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছরই রোহিতের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত এবং এ জন্য রোহিতের সম্মান প্রাপ্য।
গতকাল সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ বলেছেন, ‘রোহিত শর্মার অবসর নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন? এ ধরনের প্রশ্নই–বা করা হচ্ছে কেন? কয়েক মাস আগেই সে (টি–টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ জিতেছে। জানি না, ওকে নিয়ে নির্বাচকেরা কী ভাবছে। কিন্তু সে এখনো দারুণ খেলে যাচ্ছে।’
সৌরভের চোখে ফাইনালে ভারতই নিরঙ্কুশ ফেবারিট, ‘ভারত নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক ভালো দল। ভারত ২০২৩ (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে, ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে এবং এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তারা এখন পর্যন্ত অপরাজিত। দলে বিরাট কোহলি, গুবমান গিল, শ্রেয়াস আইয়ার, রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল আছে। তারা সবাই দারুণ ফর্মে। ভারতের বোলিং লাইনআপও ভালো। ফাইনালেও ভারত একই একাদশ নিয়ে খেলবে। আমার মনে হয় ভারতই ফেবারিট। তবে যে কেউ জিততে পারে, যে কেউ হারতে পারে। আশা করি দারুণ একটা ম্যাচ হবে।’
আজ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে সৌরভ গাঙ্গুলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন রোহিত।
সৌরভ গাঙ্গুলী (বাঁয়ে) ও রোহিত শর্মা। আইপিএলের সময়ে তোলা ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।