নিপীড়নবিরোধী পদযাত্রায় সংঘর্ষ: সহকারী পুলিশ কমিশনার আহত
Published: 11th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের মারধরে পুলিশের এক সহকারী কমিশনার আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী— বিকেল সাড়ে তিনটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড.
মিছিলটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসার পরই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এ সময় পদযাত্রায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরাও পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে রমনা জোনের এসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপর চড়াও হন কয়েকজন। তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি এবং লাথি দিতেও দেখা গেছে।
অবশ্য, পরে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য যেতে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, পুলিশকে মারধর ও আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা বিভাগের রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) মীর আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের রমনা বিভাগের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আহত হয়েছেন। তাকে বেশ মারধর করা হয়েছে। তার পরিহিত গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র য় র রমন সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক