প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের মারধরে পুলিশের এক সহকারী কমিশনার আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী— বিকেল সাড়ে তিনটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে পদযাত্রা শুরু করেন অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতাকর্মী। 

মিছিলটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসার পরই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এ সময় পদযাত্রায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরাও পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে রমনা জোনের এসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের উপর চড়াও হন কয়েকজন। তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি এবং লাথি দিতেও দেখা গেছে। 

অবশ্য, পরে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য যেতে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, পুলিশকে মারধর ও আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা বিভাগের রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) মীর আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের রমনা বিভাগের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আহত হয়েছেন। তাকে বেশ মারধর করা হয়েছে। তার পরিহিত গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র য় র রমন সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ