শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে থাকবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ
Published: 12th, March 2025 GMT
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সমন্বয়ক লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তার ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন দলের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা গঠিত প্রথম দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ফ্যাসিবাদী রাজনীতি, দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর সব দলমতের সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তোলা আমাদের স্থায়ী নীতি।
আরো পড়ুন:
লাকী আক্তারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি
লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিবৃতিতে আরো বলেন, শাহবাগী ফ্যাসিস্ট নেত্রী লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তার, শাপলা ও পিলখানা গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ইনকিলাব মঞ্চ যে ঐতিহাসিক দাবি জানিয়েছে, তাতে আমরা সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সঙ্গে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরা শাহবাগে অবস্থান করবেন।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ২৮দিন ধরে ছাত্র-জনতা গণঅবস্থান করছেন। এ কর্মসূচির সংগঠক জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহযোগী সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।