টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকোর হৃদয় ভেঙে কোয়ার্টারে রিয়াল
Published: 13th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোসদের বিদায় করতে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ কিছুই করতে হতো অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের। ম্যাচের প্রথম মিনিট পূর্ণ হবার আগেই রোজি ব্লাঙ্কোসরা গোল করে ওই আশা জাগায়।
অ্যাতলেটিকোর ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্লাঘার দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ ২-২ সমতায় দাঁড়ায়। পরের ৯০ মিনিটে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেনি কোন দল। ম্যাচ অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ালেও হয়নি গোল।
কোয়ার্টার ফাইনালে কে যাবে তা নির্ধারণ করতে তাই টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। সেখানে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকোকে ২-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকো দ্বিতীয় শটটি মিস করে। শট নিয়ে দলটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ বল ঠিকঠাক জালে পাঠান। কিন্তু শট নিতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে নিশ্চিত করেন যে, শট নেওয়ার সময় বলে দু’বার স্পর্শ করেছেন আলভারেজ। পেনাল্টির নিয়মে বলে দু’বার স্পর্শ হলে শটটি বাতিল হবে।
রিয়াল মাদ্রিদ চতুর্থ শট মিস করলে অবশ্য অ্যাতলেটিকোর সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আসে। লুকাস ভাসকেসের ওই শট ফেরান জ্লান অব্লাক। কিন্তু লরিয়েন্তে চতুর্থ শট নিয়ে মিস করেন। শেষ শটে রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার গোল করে উল্লাসে মাতান লস ব্লাঙ্কোসদের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা