চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোসদের বিদায় করতে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ কিছুই করতে হতো অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের। ম্যাচের প্রথম মিনিট পূর্ণ হবার আগেই রোজি ব্লাঙ্কোসরা গোল করে ওই আশা জাগায়। 

অ্যাতলেটিকোর ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্লাঘার দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ ২-২ সমতায় দাঁড়ায়। পরের ৯০ মিনিটে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেনি কোন দল। ম্যাচ অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ালেও হয়নি গোল।

কোয়ার্টার ফাইনালে কে যাবে তা নির্ধারণ করতে তাই টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। সেখানে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকোকে ২-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। 

টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকো দ্বিতীয় শটটি মিস করে। শট নিয়ে দলটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ বল ঠিকঠাক জালে পাঠান। কিন্তু শট নিতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে নিশ্চিত করেন যে, শট নেওয়ার সময় বলে দু’বার স্পর্শ করেছেন আলভারেজ। পেনাল্টির নিয়মে বলে দু’বার স্পর্শ হলে শটটি বাতিল হবে। 

রিয়াল মাদ্রিদ চতুর্থ শট মিস করলে অবশ্য অ্যাতলেটিকোর সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আসে। লুকাস ভাসকেসের ওই শট ফেরান জ্লান অব্লাক। কিন্তু লরিয়েন্তে চতুর্থ শট নিয়ে মিস করেন। শেষ শটে রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার গোল করে উল্লাসে মাতান লস ব্লাঙ্কোসদের। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ