মাগুরার শিশু আছিয়ার মৃত্যুর শোকে যখন পুরো দেশ ব্যথিত, তখন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের খবর এলো।

নিপীড়নের শিকার মেয়েটিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।

রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান এসব তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রায়গঞ্জ উপজেলার নাড়ুয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্র গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ছেলেটির পরিবার। বুধবার (১২ মার্চ) সকালে বিষয়টি জানাজানির পর পুলিশের তদন্ত শুরু করে। 

আরো পড়ুন:

স্কুলের মাঠে বসানো হচ্ছে মরিচের হাট

আলাদীনস পার্কে সংঘাতের বিচার দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

অভিযুক্ত স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় নির্যাতিত ওই শিশু ছাত্রীকে বুধবার (১২ মার্চ) রাত ১টার দিকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরইমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটির খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্রী এখন ভালোর দিকে। তার বাবা থানায় এসেছেন। 

এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা মামলা করার পর সন্দেহভাজন ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। রাত ১২টায় এই খবর লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য আসেনি রাইজিংবিডির হাতে। 

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডা.

উম্মে রুমান লীমা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের ধারণা পাওয়া গেছে। তবে বর্তমানে বিলিডিং বন্ধ আছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা/আদিত্য/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ