মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা ধুলাবালুর মানচিত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 14th, March 2025 GMT
আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে (গ্যালাক্সি) থাকা বিভিন্ন নক্ষত্রকে লালচে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নক্ষত্রের আলো টেলিস্কোপে প্রবেশ করার আগপর্যন্ত মহাকাশে থাকা ধুলাবালুর মেঘকে অতিক্রম করে থাকে। তাই নক্ষত্রটির রং আসলেই লাল কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা ধুলাবালুর ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা ধুলাবালুর মেঘের মধ্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের চেয়ে ভারী উপাদানের বেশির ভাগই আটকে আছে। তাই ধুলাবালুর কণাগুলো দূর থেকে আসা সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। এসব ধুলাবালু ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল আলোকে বেশি এবং বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল আলোকে কম শোষণ করে। ফলে নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করার সময় মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয়। নতুন এই মানচিত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা বিভিন্ন নক্ষত্র সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।
ত্রিমাত্রিক মানচিত্রটি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী জিয়ানইউ ঝ্যাং ও গ্রেগরি গ্রিন। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গাইয়া মিশনের সাড়ে ১০ বছরের সংগ্রহ করা তথ্য কাজে লাগিয়ে মানচিত্রটি তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের তথ্যমতে, মিল্কিওয়ে ও নিকটতম গ্যালাকটিক প্রতিবেশী ম্যাগেলানিক ক্লাউডে প্রায় ১০০ কোটি নক্ষত্র রয়েছে। নতুন এ মানচিত্রের মাধ্যমে আগের তুলনায় ভালোভাবে নক্ষত্রগুলোর অবস্থান, গতি ও অন্যান্য বস্তুর সঠিক তথ্য জানার সুযোগ পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা ধুলাবালুর ত্রিমাত্রিক মানচিত্রটি একটি নিউরাল নেটওয়ার্কের সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে নিউরাল নেটওয়ার্কটিকে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর নিউরাল নেটওয়ার্কটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিল্কিওয়েতে থাকা ধুলাবালুর মানচিত্রটি তৈরি করে।
সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?
নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে