সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে (৬) বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত সর্ম্পকে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।

নির্যাতিত শিশুর মা জানান, দুই মেয়েকে ভাইয়ের বাড়িতে রেখে তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। এ অবস্থায় গত সোমবার (১০ মার্চ) ১১ বছর বয়সী ভাতিজা আমার ৬ বছরের শিশু মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভাইয়ের পরিবার বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। অন্য মাধ্যমে জানতে পেরে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় মামলা করব। আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশী।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আসলাম জানান, নির্যাতিত শিশুটি শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওই কিশোরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.

রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি ভর্তি আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বিস্তারিত বলা যাবে বলে তিনি জানিয়েছে।

ঢাকা/অদিত্য/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ