ফুটবল মাঠে প্রায়ই দেখা যায় ব্যতিক্রমী সব ঘটনা। তবে এবার যা ঘটেছে, তা যেন বিস্ময়করই বটে। জীবিত একজন সাবেক খেলোয়াড়কে মৃত ভেবে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে বুলগেরিয়ান ক্লাব আরদা কারজালি।

গত রোববার লেভস্কি সোফিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাবেক ফুটবলার পেতকো গানচেভের মৃত্যুতে শোক জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে আরদা কারজালির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। প্রতিপক্ষ দল লেভস্কির খেলোয়াড়রাও এতে অংশ নেন। এরপর শুরু হয় ম্যাচ। তবে ম্যাচ চলাকালীনই ঘটে নাটকীয় ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নিজেই জানান পেতকো গানচেভ—তিনি সুস্থ ও জীবিত রয়েছেন! এতে চমকে ওঠে ফুটবল মহল।

ঘটনার পরপরই বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আরদা কারজালি। ক্লাব জানায়, ‘আরদা ম্যানেজমেন্ট সাবেক খেলোয়াড় পেতকো গানচেভ ও তার পরিবারের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। আমরা তার মৃত্যুর বিষয়ে ভুল তথ্য পেয়েছিলাম। গানচেভের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করছি এবং আশা করি, তিনি আমাদের সাফল্য উপভোগ করবেন।’

আরদার এই বিব্রতকর ভুলের দিন লেভস্কির বিপক্ষে ম্যাচটা তারা ড্র করেছে ১-১ গোলে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ