জীবিত ফুটবলারকে মৃত ভেবে এক মিনিট নীরবতা, পরে দুঃখপ্রকাশ
Published: 18th, March 2025 GMT
ফুটবল মাঠে প্রায়ই দেখা যায় ব্যতিক্রমী সব ঘটনা। তবে এবার যা ঘটেছে, তা যেন বিস্ময়করই বটে। জীবিত একজন সাবেক খেলোয়াড়কে মৃত ভেবে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে বুলগেরিয়ান ক্লাব আরদা কারজালি।
গত রোববার লেভস্কি সোফিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাবেক ফুটবলার পেতকো গানচেভের মৃত্যুতে শোক জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে আরদা কারজালির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। প্রতিপক্ষ দল লেভস্কির খেলোয়াড়রাও এতে অংশ নেন। এরপর শুরু হয় ম্যাচ। তবে ম্যাচ চলাকালীনই ঘটে নাটকীয় ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নিজেই জানান পেতকো গানচেভ—তিনি সুস্থ ও জীবিত রয়েছেন! এতে চমকে ওঠে ফুটবল মহল।
ঘটনার পরপরই বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আরদা কারজালি। ক্লাব জানায়, ‘আরদা ম্যানেজমেন্ট সাবেক খেলোয়াড় পেতকো গানচেভ ও তার পরিবারের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। আমরা তার মৃত্যুর বিষয়ে ভুল তথ্য পেয়েছিলাম। গানচেভের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করছি এবং আশা করি, তিনি আমাদের সাফল্য উপভোগ করবেন।’
আরদার এই বিব্রতকর ভুলের দিন লেভস্কির বিপক্ষে ম্যাচটা তারা ড্র করেছে ১-১ গোলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতু থেকে ফেলে দেন মা: পুলিশ
মাদারীপুরের শিবচরে ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে সেতু থেকে এক মা নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নে আড়িয়াল খাঁ নদীর হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি করেন এবং কিছুটা ভারসাম্যহীন। ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, নিজের ছেলেকে সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেন ওই নারী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সকাল থেকে নদীতে অভিযান চালানো শুরু করেছেন। সঙ্গে ডুবুরি দলও আছে। ছেলেটির সন্ধানে আশপাশের এলাকায়ও খোঁজ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন সহায়তা করছেন। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর নাম রিজিয়া বেগম। তিনি উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট এলাকার মৃত আজগর আলীর স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে তাঁর সংসার চলে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলে নাসিরউদ্দিন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। সে চোখে দেখে না, চলাফেরাও করতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, আসরের নামাজের পর থেকে ওই নারীকে সেতুর ওপর বসে থাকতে দেখেন। সঙ্গে ৮-৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও একটি ছেলে ছিল। ছেলেটি কাঁদছিল। নারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, ‘খিদার জন্য কাঁদছে।’
নূর আলম নামে সন্ন্যাসীর চর চৌরাস্তা এলাকার এক আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, তিনি আইসক্রিম বিক্রি করে বাড়িতে ফিরছিলেন। দূর থেকে দেখেন, এক নারী ছেলেটিকে ফেলে দিলেন। আরও অনেকে দেখেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এক অটোরিকশাচালক দৌড়ে যেতে যেতে ওই নারী কাজটি করেন।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নারীকে ঘিরে ধরে ছেলেটিকে ফেলে দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ সময়ের দুটি ভিডিও প্রথম আলোর হাতে এসেছে। ভিডিওতে ভরণপোষণ করতে না পেরে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে জানান ওই নারী। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে হেফাজতে নেয়।