লামিনে-এনড্রিকের সঙ্গে সেরা প্রতিভার তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুলিভান
Published: 19th, March 2025 GMT
সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকম প্রতিবছর ‘নেক্সট জেনারেশন’ বা সেরা প্রতিভাবান ৫০ তরুণ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করে। যাদের জন্ম ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা এর পরে এমন ৫০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে এবারো। ওই তালিকায় অনুমিতভাবে আছেন লামিনে ইয়ামাল, এন্ড্রিকে, পাও কুবার্সি, এস্তোভাও উইলিয়ানরা।
তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফিলাডেলফিয়ায় খেলা কাভান সুলিভান। তাকে সেরা প্রতিভার তালিকায় ৩০ নম্বরে রেখেছে গোল। এরই মধ্যে সুলিভানকে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ডাকতে শুরু করেছে মার্কিন ফুটবল ভক্তরা।
সুলিভান মায়ের সূত্রে জার্মান-বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তার মায়ের নাম হেইকে। সুলিভানের নানীর নাম সুলতানা আলম। তিনি বাংলাদেশি। তবে সুলিভানের বাবা-চাচারা পুরোদস্তুর মার্কিন ক্রীড়াবিদ পরিবার। সুলিভানের বাবা ব্রেন্ডন সাবেক ফুটবলার। তার তিন চাচাও ফুটবলার। সুলিভানের মাও ছিলেন ক্রীড়াবিদ।
সুলিভান এরই মধ্যে প্রতিভার স্মারক রেখে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই মেজর লিগ সকারের শীর্ষ পর্যায়ে খেলে ফেলেছেন। লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে ম্যাচের দলে ছিলেন তিনি। গত বছর মেজর লিগ সকারের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে তার অভিষেক হয়।
সুলিভান এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, তার সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির চুক্তি হয়ে আছে। বয়স ১৮ হলেই যোগ দেবেন প্রিমিয়ার লিগে। সব ঠিক থাকলে তরুণ এই ফুটবলার যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলবেন দ্রুতই। সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ দলেও।
নেক্সট জেনারেশন ফুটবলারের তালিকায় শীর্ষে আছেন বার্সা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল, দুইয়ে আছেন পালমেইরাসের এস্তেভাও। তিনে রাখা হয়েছে বার্সার পাও কুবার্সিকে। চারে পিএসজির জাইরি এমেরি ও পাঁচে আছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এনড্রিকে। সেরা দশে আর্জেন্টিনার ক্লদিও এচেভেরি, ইতালির ফ্রাঙ্কো কামার্দা জায়গা পেয়েছেন।
এছাড়া সেরা বিশে আছেন স্পোর্টিং সিপির ডিফেন্ডার কোয়েনদা, ফ্রান্সের মিডফিল্ডার আয়োব বুয়াদি, পর্তুগালের রদ্রিগো মোরা, ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ভিতর রেইস, আর্জেন্টিনার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো, ইকুয়েডরের কেন্ড্রি পেরেজরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।