সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকম প্রতিবছর ‘নেক্সট জেনারেশন’ বা সেরা প্রতিভাবান ৫০ তরুণ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করে। যাদের জন্ম ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা এর পরে এমন ৫০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে এবারো। ওই তালিকায় অনুমিতভাবে আছেন লামিনে ইয়ামাল, এন্ড্রিকে, পাও কুবার্সি, এস্তোভাও উইলিয়ানরা।

তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফিলাডেলফিয়ায় খেলা কাভান সুলিভান। তাকে সেরা প্রতিভার তালিকায় ৩০ নম্বরে রেখেছে গোল। এরই মধ্যে সুলিভানকে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ডাকতে শুরু করেছে মার্কিন ফুটবল ভক্তরা।

সুলিভান মায়ের সূত্রে জার্মান-বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তার মায়ের নাম হেইকে। সুলিভানের নানীর নাম সুলতানা আলম। তিনি বাংলাদেশি। তবে সুলিভানের বাবা-চাচারা পুরোদস্তুর মার্কিন ক্রীড়াবিদ পরিবার। সুলিভানের বাবা ব্রেন্ডন সাবেক ফুটবলার। তার তিন চাচাও ফুটবলার। সুলিভানের মাও ছিলেন ক্রীড়াবিদ।

সুলিভান এরই মধ্যে প্রতিভার স্মারক রেখে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই মেজর লিগ সকারের শীর্ষ পর্যায়ে খেলে ফেলেছেন। লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে ম্যাচের দলে ছিলেন তিনি। গত বছর মেজর লিগ সকারের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে তার অভিষেক হয়।

সুলিভান এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, তার সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির চুক্তি হয়ে আছে। বয়স ১৮ হলেই যোগ দেবেন প্রিমিয়ার লিগে। সব ঠিক থাকলে তরুণ এই ফুটবলার যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলবেন দ্রুতই। সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ দলেও।

নেক্সট জেনারেশন ফুটবলারের তালিকায় শীর্ষে আছেন বার্সা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল, দুইয়ে আছেন পালমেইরাসের এস্তেভাও। তিনে রাখা হয়েছে বার্সার পাও কুবার্সিকে। চারে পিএসজির জাইরি এমেরি ও পাঁচে আছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এনড্রিকে। সেরা দশে আর্জেন্টিনার ক্লদিও এচেভেরি, ইতালির ফ্রাঙ্কো কামার্দা জায়গা পেয়েছেন।

এছাড়া সেরা বিশে আছেন স্পোর্টিং সিপির ডিফেন্ডার কোয়েনদা, ফ্রান্সের মিডফিল্ডার আয়োব বুয়াদি, পর্তুগালের রদ্রিগো মোরা, ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ভিতর রেইস, আর্জেন্টিনার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো, ইকুয়েডরের কেন্ড্রি পেরেজরা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ