অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) বর্তমান কমিটি বাতিল করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে আটাব সংস্কার পরিষদ।

পরিষদের পক্ষ থেকে এর আহ্বায়ক গোফরান চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আলাদা চিঠি দিয়ে এই দাবি জানান। তাতে বলা হয়, আটাবের এই কমিটি ভৌতিক ভোটার তালিকা করে, কেন্দ্র দখল করে, জাল ভোট দিয়ে এবং প্রতিপক্ষকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে বারবার নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে। তাই এ কমিটিকে আজীবনের জন্য যেকোনো বাণিজ্য সংগঠনে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলা হয়েছে।

আটাব সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক গোফরান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটাবের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আবদুস সালাম আরেফ কী কী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবেদনে আমরা সেসব বিষয় তুলে ধরেছি। সভাপতি হিসেবে তাঁর যেসব কাজ করার কথা নয়, তিনি সেসব কাজ করেছেন। তাই আমরা বর্তমান কমিটি বাতিল করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগের কথা বলেছি।’

মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আটাবের বর্তমান কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা বাহাউদ্দিন নাসিমের আত্মীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের সহায়তায় ২০১১ সাল থেকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন দিয়ে দুইবার মহাসচিব হন। বর্তমানে আটাবের সভাপতির পদ দখল করে আছেন। আটাবের মহাসচিব আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এই পদে আসেন। বর্তমান কমিটি ‘আটাব অনলাইন’ নামের একটি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা বাণিজ্য সংঘ বিধি ও আটাব সদস্যদের স্বার্থের পরিপন্থী। আটাব অনলাইনকে ব্যবহার করে সভাপতি ও মহাসচিবের প্রতিষ্ঠানের নামে চেক ইস্যু করে আটাবের টাকা আত্মসাৎ–বেহাত করা হয়েছে। পরে আটাব অনলাইনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তাঁরা শেয়ারহোল্ডারদের কোনো টাকা ফেরত দেননি।

এ বিষয়ে আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ প্রথম আলোকে বলেন, আটাবের নির্বাচন স্বচ্ছ ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। নির্বাচন করে যাঁরা হেরেছেন, তাঁরা ভোটে কারচুপির কথা ছড়াচ্ছেন। তাঁর দাবি, বিমানের টিকিটের দাম বাড়াতে না পেরে একটি পক্ষ আটাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আট ব র

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ