বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সসহ সিনিয়র সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনদের মেয়াদ ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদও এখনো ফাঁকা।

অবশেষে কোচ-অধিনায়কের পদ চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। সোমবার (২৪ মার্চ) বোর্ড সভা ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচিং প্যানেল এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নাম চূড়ান্ত হবে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরেই সিমন্সকে প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। জানা গেছে এই উইন্ডিজ কোচও রাজি। দুই পক্ষের মাঝে আলোচনা চলছিল চুক্তিপত্র নিয়ে। এ ছাড়া সালাউদ্দিনকে নিয়েও আশাবাদী ক্রিকেট বোর্ড।

আরো পড়ুন:

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে মাহমুদউল্লাহর নাম প্রত্যাহার

তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের ‘মেধাবী ক্রিকেটার’দের পরিচর্যায় বিসিবি

এদিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছেন লিটন দাস। এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। এখন দেখার বিষয় আসলে লিটন নেতৃত্বের ভার নেন কি না।

এবারের বোর্ড মিটিংয়ে ফিল্ডিং কোচ নিয়োগের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিসিবি দুজন ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। একজন জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন আরেকজন বয়সভিত্তিকসহ দেশীয় কোচদেরও ফিল্ডিংয়ের দীক্ষা দেবেন।

এ ছাড়া বিপিএলের লভ্যাংশ, পূর্বাচল স্টেডিয়াম, জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিসহ নানা বিষয় নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ