কুমিল্লা সেনানিবাসে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে ইফতার
Published: 23rd, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়ার উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত চারশ ছাত্র-জনতার সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার কুমিল্লা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মুক্তির একটি গৌরবময় অধ্যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে সর্বমোট ৪ হাজার ২২১ জন আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লা সেনানিবাসেও সর্বমোট ৬৩ জন এই চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন যাদের মধ্যে ২ জন এই মুহূর্তে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই সেবা দিতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য গর্ববোধ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানসহ সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র জ ল ই অভ য ত থ ন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।