বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়ার উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত চারশ ছাত্র-জনতার সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার কুমিল্লা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মুক্তির একটি গৌরবময় অধ্যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে সর্বমোট ৪ হাজার ২২১ জন আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লা সেনানিবাসেও সর্বমোট ৬৩ জন এই চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন যাদের মধ্যে ২ জন এই মুহূর্তে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই সেবা দিতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য গর্ববোধ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানসহ সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র জ ল ই অভ য ত থ ন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫