ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
Published: 31st, October 2025 GMT
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়া এবং একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার নাম থাকা অভিযোগে ১২৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’র গেজেট বাতিল করেছে সরকার।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে গেজেটভুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরো পড়ুন:
সর্বাত্মক ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় ২০১৪ সন থেকে: সলিমুল্লাহ খান
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকায় কয়েকজন প্রকৃতপক্ষে আহত ছিলেন না বা আন্দোলনে অংশ নিয়েও আহত হননি। আবার কারো নাম একাধিকবার গেজেটে এসেছে। জেলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ময়মনসিংহে ২১ জন, সিলেটে ২৭ জন, চট্টগ্রামে ৩৯ জন, খুলনায় নয়জন, রংপুরে তিনজন, ঢাকায় ১৪ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন ও বরিশালে দুইজনসহ মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এদের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা ও মাসিক ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে।
সরকার এখন পর্যন্ত ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের গেজেট প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে আটজনের গেজেট পরে বাতিল হয়। এছাড়া আহতদের মধ্যে ক-শ্রেণিতে ৬০২ জন, খ-শ্রেণিতে ১ হাজার ১১৮ জন এবং গ-শ্রেণিতে ১২ হাজার ৩৮ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে।
ক-শ্রেণির আহতরা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা, খ-শ্রেণিররা ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা এবং গ-শ্রেণির আহতরা ১ লাখ টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতারণার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
 কোনো ভাড়াটিয়া শিল্পপতিদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই : সাখাওয়াত
কোনো ভাড়াটিয়া শিল্পপতিদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই : সাখাওয়াত