ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় পাসের হার ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর মোট পাস করেছে ৭ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান থেকে পাস করেছেন ৬ হাজার ৯২২ জন, মানবিক থেকে ৩৯৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ১২২ জন।

আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটে এবার এক হাজার ৮৯৬টি আসনের (বিজ্ঞান ১৮২০, মানবিক ৫১, ব্যবসায়ে শিক্ষা ২৫) বিপরীতে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭৭ জন।
পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল admission.

eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে DU SCI ˂roll no˃  টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি  SMS -এ ফলাফল জানা যাবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হলো—

ক.

পাস করা ছাত্র/ছাত্রীদের আগামী ২৫ মার্চ বিকেল ৩ টা হতে ১৬ এপ্রিল, বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।
খ.

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিস হতে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।
গ.

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, আবেদন স্নাতক-স্নাতকোত্তরে২৪ মার্চ ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের অধীন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিভাগগুলো এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব জ ঞ ন ইউন ট র পর ক ষ র পর ক ষ য় ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ