আমার যা আছে তোমার তা নেই, রদ্রিগোকে যা বোঝালেন পারেদেস
Published: 26th, March 2025 GMT
ব্রাজিলের ফুটবলারদের দাপট দেখা গেল মাঠে নামার আগেই। খেলা শুরুর পর মাঠে আর্জেন্টাইনরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে তো জিতেছেই, সঙ্গে মাঠে সুযোগ পেলেই ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা।
কথার লড়াই শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের পক্ষ থেকে। ম্যাচের আগে রাফিনিয়া মাঠে ও মাঠের বাইরে আর্জেন্টিনাকে ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া’র কথা বলেন। সেই কথার রেশ দেখা গেছে ম্যাচে।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে নিকোলাস তালিয়াফিকোর ফাউলের শিকার হয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন রাফিনিয়া। এরপর রাফিনিয়ার দিকে তেড়ে যান আর্জেন্টিনার কয়েক ফুটবলার। সেখানে ওতামেন্দি রাফিনিয়াকে কম কথা বলতে বলেন।
এ ঘটনায় কথার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রদ্রিগো ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারদেসও। ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো পারদেসকে বলেছেন, ‘তুমি খুব খারাপ মানুষ।’ এর জবাবটা পারদেস দিয়েছেন বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা নিয়ে খোঁচা, ‘আমার একটি বিশ্বকাপ ও দুটো কোপা আমেরিকা আছে। তোমার কিছু নেই।’
২০২১ ও ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা ও ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পারদেস। একটু বড়াই তো করতেই পারেন!
আরও পড়ুনরাফিনিয়াকে চোখ রাঙিয়ে ফার্নান্দেজ বললেন, এই জয় বাংলাদেশের জন্যও১ ঘণ্টা আগেআজ ব্রাজিলের রক্ষণকে পুরো ম্যাচে চাপে রেখেছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। ৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলও এসেছে তাঁর কাছ থেকেই। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলকে খোঁচা মারেন হুলিয়ান আলভারেজও।
তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে তারা যে কথা বলেছে, যেভাবে বলেছে, তা এই ম্যাচের পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। তবে আমরা আমাদের কাজটা করেছি, দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। আমরা ওদের নাচিয়ে ছাড়লাম। দল থেকে আমাকে দলকে সাহায্য করার কথা বলা হয়, যেটা আমি সব সময়ই করি। যখন খেলি দলের জন্য খেলতে চাই। স্কালোনি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ৪-১ ব্যবধানের জয়, এটা ঐতিহাসিক। ঘরের মাঠে দারুণ ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপেও পৌঁছে গেছি।’
আরও পড়ুনসত্যি কি সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলার সামর্থ্য রাখেন হামজারা২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি