ব্রাজিলের ফুটবলারদের দাপট দেখা গেল মাঠে নামার আগেই। খেলা শুরুর পর মাঠে আর্জেন্টাইনরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে তো জিতেছেই, সঙ্গে মাঠে সুযোগ পেলেই ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা।

কথার লড়াই শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের পক্ষ থেকে। ম্যাচের আগে রাফিনিয়া মাঠে ও মাঠের বাইরে আর্জেন্টিনাকে ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া’র কথা বলেন। সেই কথার রেশ দেখা গেছে ম্যাচে।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে নিকোলাস তালিয়াফিকোর ফাউলের শিকার হয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন রাফিনিয়া। এরপর রাফিনিয়ার দিকে তেড়ে যান আর্জেন্টিনার কয়েক ফুটবলার। সেখানে ওতামেন্দি রাফিনিয়াকে কম কথা বলতে বলেন।

এ ঘটনায় কথার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রদ্রিগো ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারদেসও। ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো পারদেসকে বলেছেন, ‘তুমি খুব খারাপ মানুষ।’ এর জবাবটা পারদেস দিয়েছেন বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা নিয়ে খোঁচা, ‘আমার একটি বিশ্বকাপ ও দুটো কোপা আমেরিকা আছে। তোমার কিছু নেই।’

২০২১ ও ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা ও ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পারদেস। একটু বড়াই তো করতেই পারেন!

আরও পড়ুনরাফিনিয়াকে চোখ রাঙিয়ে ফার্নান্দেজ বললেন, এই জয় বাংলাদেশের জন্যও১ ঘণ্টা আগে

আজ ব্রাজিলের রক্ষণকে পুরো ম্যাচে চাপে রেখেছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। ৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলও এসেছে তাঁর কাছ থেকেই। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলকে খোঁচা মারেন হুলিয়ান আলভারেজও।

তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে তারা যে কথা বলেছে, যেভাবে বলেছে, তা এই ম্যাচের পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। তবে আমরা আমাদের কাজটা করেছি, দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। আমরা ওদের নাচিয়ে ছাড়লাম। দল থেকে আমাকে দলকে সাহায্য করার কথা বলা হয়, যেটা আমি সব সময়ই করি। যখন খেলি দলের জন্য খেলতে চাই। স্কালোনি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ৪-১ ব্যবধানের জয়, এটা ঐতিহাসিক। ঘরের মাঠে দারুণ ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপেও পৌঁছে গেছি।’

আরও পড়ুনসত্যি কি সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলার সামর্থ্য রাখেন হামজারা২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন র ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ