থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন একটি ৩০তলা সরকারি অফিস ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে কর্মরত অন্তত ৪৩ জন শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর ও মধ্য থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রচারিত একটি ভিডিওতে ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করেন। শুক্রবার দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে ব্যাংককে। ভূমিকম্পের প্রভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর ব্যাংককের  ওই ভবনটি ধসে পড়ে। 

Breaking: Video shows the moment a skyscraper under construction collapsed due to earthquake in Bangkok.

pic.twitter.com/OIdxc4epKf

— PM Breaking News (@PMBreakingNews) March 28, 2025

এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, বড় একটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ছে। স্থানীয়রা ভবনটির ভেঙে পড়ার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করছেন।  

পর্যটন শহর চিয়াং মাইয়ের বাসিন্দা ডুয়াংজাই এএফপিকে বলেন, ‌‘আমি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। ভূমিকম্প টের পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসি।’ 

ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় বহুতল ভবনের ছাদ থেকে সুইমিং পুলের পানি বাইরে নিচের দিকে ছিটকে পড়ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির ছোট সুইমিং পুলের পানি প্রচণ্ডভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে, যা দেখতে ​​সুনামির মতো।  

ব্যাংককে ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো দুলতে শুরু করে। কয়েককটি ভবনের জানালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ব্যাংককে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন বের হয়ে এসে রাস্তায় জড়ো হন।

ভূমিকম্পের আতঙ্কে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও লোকজন ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। বাংলাদেশও অনূভূত হয়েছে এ ভূমিকম্প। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আজ শুক্রবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকা থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মান্দালয় ৭ দশমিক ৭ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে, যা রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ভ ম কম প র ৭ দশম ক ৭ অন ভ ত

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।

আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগে

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
  • তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক