উপদেষ্টাদের বিদেশ সফর কমিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া উচিত: রাশেদ খান
Published: 29th, March 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “উপদেষ্টারা এখন বেশি বেশি বিদেশ সফর করছেন। বিপ্লবী সরকারের উচিৎ বিদেশ সফর কমিয়ে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে যাওয়া। মানুষের কষ্টের কথাগুলো শোনা উচিত তাদের। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা বিপ্লবী সরকার।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্রয় দিচ্ছে। এটা করবেন না। এটা করলে শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।”
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঝিনাইদহে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ শূন্য বর্জ্য দিবস
অধ্যাপক ইউনূসকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ানের অভিনন্দন
বাংলাদেশে বিনিয়োগ-উৎপাদন বাড়ানোর আশ্বাস জিনপিংয়ের
ইফতার মাহফিলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগেফরাত কামনা করে রাশেদ খান বলেন, “৭১-এ গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তান। ২৪-এ গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশে আর কোনো গণহত্যা চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।”
গণঅধিকার পরিষদের তিনটি দাবি তুলে ধরে রাশেদ খান বলেন, “গণহত্যার বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্রুত রাষ্ট্র সংস্কার করে ডিসেম্বরের ভেতরে নির্বাচন দিতে হবে।”
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল আলিম, মুহাদ্দিস রবিউল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর লাবলু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপিত ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম রহমান বাবু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রাসেল উদ্দিন ও সরকারি কেসি কলেজের সাবেক প্রফেসর মহব্বত হোমেন টিপু।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ