“ঈদের পুরো দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সারা দিন খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে থাকব। ঈদ ছাড়া তো সেভাবে খাওয়ার সুযোগ হয় না। কারণ আমাদের অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। যেহেতে ছুটি থাকবে, সুতরাং ঈদের কয়েকটা দিন খাবদাব, একটু মোটা হবো।”— এভাবেই কথাগুলো বলেন আলোচিত অভিনেত্রী ফারিন খান।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিন খান। তবে তার লক্ষ্য ছিল— রুপালি পর্দা। নিজের টার্গেট পূর্ণও করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে। একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ফারিন নজর কাড়েন কাজল আরেফিন অমি নির্মিত ‘ফিমেল’ নাটকের মাধ্যমে। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত ফারিন। ঈদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
তবে কী ফারিন ঈদের সময়ে ডায়েট ভুলে যাবেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “হ্যাঁ, ঈদের সময়ে ডায়েট ভুলে যাই আরকি! যদিও ডায়েট আমি কমই করি। আমি জেনেটিক্যালি একটু শুকনা। সারা বছর যতটুকু ডায়েট করি, ঈদের সময়ে ততটুকুও করি না।”
ঝাল, টক, মিষ্টি— কোনটা খেতে বেশি পছন্দ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ফারিন খান বলেন, “ঝাল, আমি ঝাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি।” ফারিনের কথা কী ঝাল নাকি মিষ্টি? তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিনেত্রী বলেন, “সবাই তো বলে আমি একটু ঝাল।”
ফারিন অভিনীত বেশ কটি নাটক ঈদুল ফিতরে প্রচার হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “ছোট পর্দায় কাজ করছি মাত্র এক বছর পেরিয়েছে। ঈদুল ফিতরে আমার অভিনীত ‘আজান’ নাটকটি ঈদের পরের দিন প্রচার হবে। ঈদে আমার আরো চারটি কাজ দেখতে পাবেন দর্শক। এগুলোতে মুশফিক আর ফারহান ভাইয়ের সঙ্গে করেছি। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। চারটি কাজই দুর্দান্ত হয়েছে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।