প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পিএইচডি গবেষকদের কাছ থেকে ফেলোশিপের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিএইচডি ফেলোশিপের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি কোর্সে ভর্তিকৃত-অধ্যয়নরত গবেষকদের কাছ থেকে এ জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ মিলবে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে নতুন বিজ্ঞপ্তি, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, যাদের সুযোগ১৬ মার্চ ২০২৫গবেষণার অধিক্ষেত্র হলো—

সামাজিক বিজ্ঞান

কলা ও মানবিক

ব্যবসায় শিক্ষা

সমুদ্রবিজ্ঞান

আইন

ভৌতবিজ্ঞান

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

বিজ্ঞান

জীববিজ্ঞান

শিক্ষা ও উন্নয়ন

চিকিৎসাবিজ্ঞান

চারু ও কারু

কৃষিবিজ্ঞান

ধর্মীয় শিক্ষা।

আবেদনের নিয়ম ও শর্ত

গবেষকেরা অনলাইনে আবেদন করবেন

শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম দুটি প্রথম বিভাগ (জিপিএ-৫ স্কেলে ৩.

৫০ এবং ৪ স্কেলে ৩.০০) থাকতে হবে

ফেলোশিপের জন্য আবেদন জমার তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে

অনলাইনে আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি (সনদ ও মার্কশিট), পিএইচডি কোর্সে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশনের কপি, গবেষণা প্রস্তাবনা ও বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র সংযোজন করতে হবে

অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ (দুই সেট আবেদন) আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে অফিস চলাকালে সরাসরি বা ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাড়ি নম্বর-৪৪, সড়ক নম্বর-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ বরাবর পাঠাতে হবে

সরকারি বা আধা সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কপি সংযোজন করতে হবে

কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল বা পরিবর্তন এবং যেকোনো আবেদন বিবেচনা বা বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে

বিস্তারিত জানতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকাসহ অন্য বিষয় জানতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। এ ছাড়া প্রার্থীরা ০১৭৭৮৯৬৪১৫৬, ০১৭২৪৫৯৬৬৭৬, ০১৭৩৬৩২৭৫৬২—এই হটলাইনে যেকোনো ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান, ভর্তি নিশ্চিতকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন অনুদান প্রদানসহ এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে বৃত্তি এবং ফেলোশিপ প্রদান করছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

আবেদন শেষ কবে

১৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, যেভাবে মিলবে সুযোগ১২ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এইচড র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়

‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’

গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’

প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।

আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)

সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে  প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।

আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫

‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।

কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।

আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স, ক্লাস শুক্র ও শনিবার
  • মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিতে করুন আবেদন, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ জুন ২০২৫)
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড ও এমএড, আবেদন শেষ ১৫ জুন