প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসব পার্বণে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আগমন ঘটে লাখ লাখ পর্যটকের। তবে সবেচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ ও কোরবানিতে। এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সরকারি টানা ৯ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঈদের প্রথম দিনেই আগমন ঘটতে শুরু করে পর্যটকের। 

তবে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এবং শুক্রবার (৪ এপ্রিল) লাখো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগত পর্যটকরা সৈকতের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হলেও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের চোখে মুখে লক্ষ্য করা গেছে বিরক্তির ছাপ। অনেকেই কুয়াকাটা সৈকতে বসে বার বার চেষ্টার পরও স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই মোবাইলে ঠিক মতো ইন্টারনেট থাকছে না। বিশেষ করে আলীপুরের পর কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করলেই শুরু হয় ইন্টারনেটের দুরাবস্থা। আর কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকে ইন্টারনেট। অনেক সময় ফোনে কল ঢুকলেও কথা কেটে কেটে আসে। আবার অনেকে সময় একেবারে কল ঢোকে না। 

আবার ফোন কল আসার পরে গ্রহন করার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই কেটে যায়। একই অবস্থা গ্রামীনফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল ও টেলিটক অপারেটরের। শুধু এবছর ঈদেই নয়, যেকোন উৎসব পার্বণে ইন্টারনেটের এ দুরাবস্থা হয়। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়সহ পর্যটকরাও।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রুকাইয়া বেগম বলেন, “ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় বোড়াতে এসেছি। বাড়িতে মা কিছুটা অসুস্থ। এখানে এসে চেয়েছিলাম মায়ের মন ভালো করার জন্য ভিডিও কলে সমুদ্র সৈকত দেখাবে। ভিডিও কল তো দূরের কথা সৈকতে নেমে মায়ের সঙ্গে কথা অডিও কলেও কথা বলতে পারিনি। পরে হোটেলে এসে ওয়াফাই কানেক্ট দিয়ে কথা বলেছি।” 

সৈকত লাগোয়া আচার ব্যবসায়ী খলিল হোসেন বলেন, “বেশির সময়ই সকল অপারেটেরের মোবাইল নেটে সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে শুধু গ্রামীণ সিম চলে। তাও বেশি পর্যটকের আগমন ঘটলে কল আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আমরা কুয়াকাটায় সব সময় নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সচল রাখার দাবি জানাচ্ছি।”

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “পর্যটকরা মূলত কুয়াকাটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্যই আসে। কিন্তু পর্যটকরা সৈকতে এসে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট। আমরা বার বার প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানোর পরও এর সমাধান হয়নি।”

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সিম অপারেটরদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাণের গানে সালাহর উৎসব

শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone...। অলরেডদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ গানেই পূর্ণতা পায় উৎসব।

এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি। 

২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।

ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’ 

প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’