যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া চিড়িয়াখানায় প্রায় ১০০ বছর বয়সী অত্যন্ত বিপন্ন প্রজাতির এক জোড়া দৈত্যাকার কচ্ছপ প্রথমবারের মতো মা–বাবা হয়েছে। চিড়িয়াখানাটির ১৫০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা ‘প্রথম’ ঘটল। এ ছাড়া মা কচ্ছপটি তার প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রথমবারের মতো মা হলো।

মমিকে ১৯৩২ সালে ওই চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। অবশ্য আবরাজ্জো সে তুলনায় নতুন। তাকে আনা হয়েছে ২০২০ সালে। এর আগে আবরাজ্জো সাউথ ক্যারোলাইনার রিভারব্যাংক জু অ্যান্ড গার্ডেনে ছিল।

চিড়িয়াখানাটি চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে, পশ্চিম সান্তা ক্রুজ গ্যালাপাগোস প্রজাতির আবরাজ্জো ও মমি নামের কচ্ছপ জোড়া চারটি বাচ্চা জন্ম দেওয়ায় তারা ‘অত্যন্ত আনন্দিত’।

পশ্চিম সান্তা ক্রুজ গ্যালাপাগোস কচ্ছপগুলো বন্য অঞ্চলে অত্যন্ত বিপন্ন। মার্কিন চিড়িয়াখানাগুলোয় এদের সংখ্যা ৫০টির কম।

আবরাজ্জো ও মমির প্রথম ডিম ফুটেছিল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর দ্রুতই অন্য ডিমগুলোও ফুটে বাচ্চা বের হয়। আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও যেসব ডিম ফুটতে পারে, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে চিড়িয়াখানার প্রাণী পরিচর্যা দল।

চিড়িয়াখানার সিইও কো-ইলি মোগারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়া চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফক। এই কচ্ছপের বাচ্চা দেওয়ার বিষয়টি এই শহর, এই অঞ্চল এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে আমরা আনন্দিত।’

নবজাতক কচ্ছপগুলোর একেকটির ওজন ৭০ থেকে ৮০ গ্রামের মধ্যে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলাডেলফিয়া চিড়িয়াখানার সরীসৃপ এবং উভচর হাউসের ভেতরে কচ্ছপগুলোকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয়েছে। তারা যথাযথভাবে খাচ্ছে এবং বেড়ে উঠছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ২৩ এপ্রিল কচ্ছপের বাচ্চাগুলোকে জনসমক্ষে আনার পরিকল্পনা করছে। মমিকে এ চিড়িয়াখানায় আনার ৯৩তম বার্ষিকী ওই দিন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবর জ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া