আনসারে স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও রেশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন
Published: 9th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদস্যদের কল্যাণ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও অপারেশনাল সক্ষমতা উন্নয়নে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আনসার সদস্যদের জন্য চালু হয়েছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং রেশন পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি পৃথক খাতে গৃহীত এই উদ্যোগগুলো বাহিনীর সদস্যদের জীবনমান উন্নয়ন ও বাহিনীর সার্বিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও আনসার সদরদপ্তরে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ফলে আনসার সদস্যরা শুধু বাহিনীর অভ্যন্তরে নয়, বাহিরের চাকরির বাজারেও প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে। যা দেশে বেকারত্ব হ্রাসে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা স্বনির্ভর হয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারবে, ফলে আত্মকর্মসংস্থানের নতুন দ্বারও উন্মোচিত হবে।
এর আগে আনসার-ভিডিপি এবং গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশনস (জিডিএইচএস)-এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় বাহিনীর সদস্যরা ‘সুখী’ অ্যাপের মাধ্যমে ২৪/৭ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে ভিডিও কনসালটেশন, হোম ল্যাব টেস্ট, ওষুধ সরবরাহ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভকালীন পরিচর্যা, অ্যাম্বুলেন্স সংযোগ, ব্লাড ব্যাংক সেবা প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গ্রামীণ গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫