সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদিবিরোধী বিবেচিত বিষয়বস্তু পোস্টকারী ব্যক্তিদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইহুদিবিরোধী হিসেবে সংজ্ঞায়িত পোস্টগুলোতে হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মতো যেসব গোষ্ঠীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে তাদের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। অথচ মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।

স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম ‘স্পষ্ট করে বলেছেন যে যারা মনে করেন তারা আমেরিকায় এসে ইহুদিবিরোধী সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রথম সংশোধনীর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারেন - তারা আবার ভাবুন। এখানে আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন বিষয়বস্তু বিবেচনা করবে যা ইঙ্গিত দেয় যে, কোনো বিদেশী ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বা অন্যান্য ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করেছে, সমর্থন করছে, প্রচার করছে” মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা  সুবিধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা নেতিবাচক কারণ হবে।”

এই নীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং শিক্ষার্থী ভিসা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য স্থায়ী বাসিন্দা ‘গ্রিন কার্ড’ এর আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ