বন্দর উপজেলা ও থানা বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্যাগে ঈদ পূনমিলনী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনাসহ ফিলিস্তিনের ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বন্দরে ২৩ নং ওয়ার্ডের  নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে মহানগর বিএনপি নেতা  মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমার পরিবার শহীদ জিয়ার দল করে। আমরা কোন ব্যাক্তির দল করি না। সঠিক নেতৃত্ব না থাকার কারনে নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরেছে।

বিএনপি নেতা দুলাল, এড: শাখাওয়াত ও এডঃ টিপুকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনারা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। আপনাদের ব্যার্থতার কারনে নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপি ৬ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরেছে।

তিনি আরো বলেন,  যারা নারায়নগঞ্জে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। আর তা না হলে জনগন ও নেতাকর্মীদের নিয়ে আপনাদের প্রতিহত করা হবে। সে সাথে তিনি  নিরিহ ফিলিস্তিনি উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার র্তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

পরিশেষে তিনি  বিএনপি স্বার্থে  নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি কান্ডারি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারে জোর দাবি জানান আগামী রাস্ট্র নায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপি সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে।

মহানগর বিএনপি সদস্য ও বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ঈদ পূর্ণমিলনী সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপি নেতা এড: আনিছ, মেজবা উদ্দিন স্বপন, সদর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাজী রাশেদ আহাম্মেদ টিটু,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহীদ মেম্বার, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন মেম্বার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কাবিল হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম, মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

বন্দর থানা ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রুমেল এর সঞ্চালনায় ঈদ পূর্ণমিলনী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সভাপতি রাসেল, প্রচার সম্পাদক আলী আকবর, বশির আহাম্মেদ, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাব্বার পাঠান ওৃৃ মো: শাহীন, বন্দর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোদাসসির রহমান আপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য স্বজন, মানিক, ২৩ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সদস্য নির্জন, ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আক্তার হোসেন, সাবেক যুবদলের সাধারন সম্পাদক  সানোয়ার হোসেন,  তৌহিদ, মহিবর, কালাম, জাকির, দেলোয়ার, আসাদ, ডালিম, হাসান মেম্বার, আনিছ,২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হিরন বাদশা, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সহ সভাপতি ইসলাম, বিএনপি নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, জনি, বাহাউদ্দীন, শাহজাহান, সফিকুল, জাহাঙ্গীর,  আমান, আলী হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সাফি, মোরশেদ আলম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা  মাসুদ, কাইয়ুম, সুলতান ও বন্দর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা পাভেল,বন্দর উপজেলা ও থানা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ব এনপ র ব এনপ য বদল রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন