হাবিপ্রবিতে দেশীয় কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সমারোহে
Published: 14th, April 2025 GMT
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করতে বর্ণিল সাজ ও উৎসবে মেতেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশীয় কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সমারোহে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছেন তারা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো.
শোভাযাত্রাটি টিএসসির সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য স্টল গুলো ঘুরে দেখেন এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, বিভিন্ন শাখার পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিভিন্ন অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সারাদিনব্যাপী বৈশাখী মেলাসহ দেশীয় খাবারের আয়োজন করে। প্রায় ৫০টি স্টলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভিন্ন স্বাদের খাবার ও উদ্ভাবনী সামগ্রী প্রদর্শন করে।
এছাড়া টিএসসির মুক্ত মঞ্চে হাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আবহমান বাংলা ও আঞ্চলিকতার উপর প্রদর্শনী বিতর্ক। বিএনসিসি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি ও হাড়ি ভাঙ্গা খেলা, হাবিপ্রবি ফিল্ম ক্লাবের আয়োজনে চলচিত্র প্রদর্শনী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মজার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পান্তা ভাতের আয়োজন ইত্যাদি।
পাশাপাশি বাদ যোহর হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মসজিদে দেশ জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ব প রব অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা