আরও ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ
Published: 16th, April 2025 GMT
দেশের আরও সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য দুই আওয়ামী লীগের নেতা হলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু। সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, একটি থেকে শেখ ফজলুল হক মণি ও ৫টি থেকে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনকানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ৩ ঘণ্টা আগেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের নীতিমালা-২০২৩ অনুযায়ী স্কুলগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এগুলো হলো গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ‘১৭৫ নম্বর হাতিকাটা শেখ মণি জ্ঞানেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘১৭৫ নম্বর জ্ঞানেন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ‘নোয়াদ্দা নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, একই উপজেলার ‘চরলক্ষ্মীপুর নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, একই উপজেলার ‘পিরদা চৌধুরীপাড়া আলফাজ নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘পিরদা চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, একই উপজেলার ‘পাল্লা আলফাজ নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, দক্ষিণ বালিয়াপাড়া ‘নজরুল ইসলাম বাবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘দক্ষিণ বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে। আর কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার ‘বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’–এর নাম ‘বত্রিশ নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে। এ স্কুলের নাম গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ‘বত্রিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হলেও তা বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে কয়েক দফায় ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ব ব উপজ ল র এর ন ম আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।