দুবাই ডার্মায় বিপুল অংকের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ এর মেডিকেটেড স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড সিওডিল। এর মধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত সিওডিলের পণ্যের রপ্তানি আদেশ মিলেছে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের। যা বাংলাদেশের স্কিন কেয়ার ইন্ডাস্ট্রির জন্য মাইলফলক।

মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বায়ারাও সিওডিল পণ্য ক্রয়ে সম্মতি দিয়েছেন। যা প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক বাজারে সিওডিল পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও চাহিদা দুটোই বেড়েছে।

এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ স্কিন কেয়ার পণ্যের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। নীতি নির্ধারকদের যথাযথ মনোযোগ দ্রুত বিকাশমান এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে শুরু হওয়া দুবাই ওয়ার্ল্ড ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন-দুবাই ডার্মা এর শেষ দিনেও সিওডিলের স্টল ছিল দর্শনার্থী, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আমদানিকারকদের ভিড়। প্রদর্শনীতে সিওডিল স্টলের ব্যতিক্রমী উপস্থাপন সাড়া ফেলেছে।

প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দর্শনার্থীরা সিওডিল ব্র্যান্ডের-প্রস্তাবিত ত্বকের যত্নের সমাধান নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবারই প্রথম কোন বিদেশি ব্র্যান্ডের বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে রিমার্ক।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি অন স্পট আদেশে স্থানীয় বাজারে পণ্য আমদানিতে রিমার্ক প্রতিনিধির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, নেপাল, ভারত এবং লিবিয়ার বায়াররাও পণ্য ক্রয়ে সম্মতি দিয়েছেন।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ