রাজশাহীতে আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজত থেকে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২–এ হাজিরা শেষে পালিয়ে যান তিনি।

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম মো. আরিফ (৩২)। তিনি নগরের রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদক মামলার আসামি আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি আরিফ পালিয়ে যান।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন বলে, ঘটনার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ